১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তির পর সৃষ্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের স্বৈরতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণের শিকার হয় পূর্ব বাংলার মানুষ, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি। এই স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হয় বাঙালির মায়ের ভাষা বাংলার মর্যাদার উপর আঘাতের মধ্য দিয়ে। আত্মপরিচয়ের অনন্য নিয়ামক মাতৃভাষা রক্ষাকল্পে পূর্ববাংলার মানুষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম ও দেশপ্রেমের যে নজীর সৃষ্টি করে তা ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশের পথ উন্মুক্ত করে। বাঙালির ভাষা ও তাদের রাজনীতির পাশাপাশি ৬০-এর দশকে স্বজাত সংস্কৃতির বিকাশকে রুদ্ধ ও মুক্তচিন্তার পথকে বিনষ্ট করার গভীর নীল নকশা নিয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন শুরু করে। পাকিস্তান আমলে ইতিহাসের সত্যকে বিকৃত করার কারণে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস গবেষণা ও রচনায় শূন্যতা সৃষ্টির পথ প্রশস্ত হয়। এমন একটি দ্ব›দ্ব ও বিদ্বেষ মুখর পরিবেশে বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যাশ্রিত ইতিহাস রচনার আদর্শ সামনে রেখে বাংলাভাষায় ইতিহাস চর্চা ও রচনার উদ্দেশ্যে পূর্ব বাংলার ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস অনুরাগীরা বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেন।
 
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, স্বপ্নদ্রষ্টা ড. আবু মুহামেদ হবিবুল্লাহ্ ও তাঁর কয়েকজন ইতিহাস অনুরাগী, উৎসাহী সহকর্মীর সক্রিয় সহায়তায় ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রেক্ষাপটে বাঙালির মুক্তচিন্তা ও সংস্কৃতির চর্চা পাকিস্তানি শাসকদের বাধার মুখে সম্মুখিন হয়। এমন বাস্তবতায় বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাতৃভাষা বাংলায় ইতিহাস চর্চা ও গবেষণার সংকল্প থেকেই বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশে ২৭ ডিসেম্বর ১৯৬৬/১১ই পৌষ ১৩৭৩ সালে ‘বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ’ এর পথচলা শুরু। ১৯৬৬ সাল হতে বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা, মৌলিক গবেষণার চর্চা ও প্রসারে পরিষদ দীর্ঘ সময়ব্যাপী দৃশ্যমান অবদান রেখে চলেছে। ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের করায়ত্ত থেকে মুক্তির আলোকবর্তিকা নিয়ে উন্নত ও স্বাধীন দেশের মুক্ত মাটিতে আজ নিজ ভাষায় বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাস রচনার  ব্রত নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে চলেছে। সংস্কারবাদী ও মুক্তচিন্তার সম্মেলন ক্ষেত্র বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ। এই পরিষদ দীর্ঘ ৫৯ (ঊনষাট) বৎসর ধরে বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা ও মৌলিক গবেষণামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইতিহাস ও নানাবিধ বিষয়ে গবেষণার সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
এই পরিষদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা, মৌলিক গবেষণার প্রসার, গবেষণালব্ধ ঐতিহাসিক সত্যের প্রতিষ্ঠা ও প্রচার, বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে ইতিহাস সচেতনতার প্রসার ঘটানো। তাছাড়া, দেশের পাঠ্যসূচিতে ইতিহাস শাস্ত্রের গুরুত্ব অনুধাবন এবং ইতিহাসের বিষয়বস্তু, পাঠ্যক্রম ও শিক্ষার প্রসার এবং তাঁর উন্নতি বিধান করাও হচ্ছে এ পরিষদের অন্যতম উদ্দেশ্য। সে সাথে ইতিহাস, সাহিত্য ও শিল্পকলার তথ্য বিবরণ সঙ্কলন এবং এ বিষয়ে গবেষণায় উৎসাহ প্রদান, ইতিহাস, সাহিত্য চর্চা ও প্রসারের দ্বারা বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে কাজ করাত্ত হচ্ছে এই পরিষদের আর একটি লক্ষ্য। এ পরিষদের  প্রধান ও মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে “বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ” ১৯৬৬ সালে জন্ম নেয়। জন্মলগ্ন থেকেই আলোচ্য উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরবিচ্ছিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও ইতিহাস শীর্ষক পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ আজ বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার একটি পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পরিষদের কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ধারাবাহিকভাবে বিশেষ কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমসমূহ হলো: প্রথমত, বাংলা ভাষায় ইতিহাস বিষয়ক পত্রিকা ও পুস্তকাদি প্রকাশ; দ্বিতীয়ত, বাংলা ভাষায় ইতিহাস বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনার জন্য নিয়মিত সভা, সেমিনার আয়োজন; তৃতীয়ত, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বার্ষিক ও দ্বি-বার্ষিক জাতীয়/আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা, চতুর্থত, বাংলা সাহিত্য বা ইতিহাস চর্চার লক্ষে প্রতিষ্ঠিত দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিষদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনমত সহযোগিতা লাভ; পঞ্চমত, ঐতিহাসিক স্থান ও ইমারত সংরক্ষণে উৎসাহ ও উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রতœতাত্তি¡ক অনুসন্ধান ও উৎখনন কার্যের আয়োজন ও সংরক্ষণে জনমত গঠন; ষষ্ঠত, ঐতিহাসিক উপকরণসমূহ যেমন-পান্ডুলিপি, দলিল-দস্তাবেজ, মুদ্রা, শিলালিপি ও দুষ্প্রাপ্য প্রাচীনগ্রন্থসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালা স্থাপনে উৎসাহ প্রদান; সপ্তমত, বাংলা ভাষায় ইতিহাস গবেষণা ও গ্রন্থ রচনাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রত্যেক বছর বাংলা ভাষায় রচিত একটি নির্বাচিত ইতিহাস গ্রন্থকে ‘বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ’ পুরষ্কার প্রদান করা এবং অষ্টমত, প্রয়োজনবোধে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ।
তাই পরিষদের কর্ম-সংসদ গঠনতন্ত্রের আলোকে পরিকল্পনা প্রণয়ন, কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং পরিচালনাসহ পরিষদের উদ্দেশ্য অর্জনে বেশ কিছু নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো প্রথমত, পরিষদের সদস্যভূক্তি, দ্বিতীয়ত,  সদস্য ও আমন্ত্রিত বক্তাদের প্রবন্ধ পাঠ ও বক্তব্য উপস্থাপন, তৃতীয়ত, পঠিত প্রবন্ধ পুনঃমূল্যায়ন ও মূল্যায়নকৃত প্রবন্ধসমূহের সমন্বয়ে গবেষণা পত্রিকা ইতিহাস প্রকাশ, চতুর্থত, বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, সম্মেলন ও গবেষণা ধর্মী প্রবন্ধের সংকলনে ইতিহাস বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ, পঞ্চমত, স্মারক বক্তৃতার আয়োজন এবং ষষ্ঠত, স্মারকগ্রন্থের প্রকাশ। এসব কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা; ইতিহাস শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাবলীর পর্যালোচনা ও সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ; স্থানীয় ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা ও ইতিহাসের উপকরণ নির্ধারণসহ উপকরণ সংগ্রহে উৎসাহ ও পরামর্শ দান করা।
বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনের মহান ব্রত নিয়ে এবং এটির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ প্রতিষ্ঠায় এ দেশের বিদগ্ধ পন্ডিত, গবেষক, খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ ও প্রথিতযশা ইতিহাসবিদগণের অবদান অনস্বীকার্য। ইতিহাসের বস্তুনিষ্ঠ পঠন-পাঠন ও গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় ইতিহাস রচনার মাধ্যমে যে সকল জ্ঞানতাপস ও সুধিজন এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন তাঁরা নিজেরাই আজ গর্বিত ইতিহাসের অংশীদার এবং শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় ও বরণীয়। বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ বিগত ৫৯ বছরে একটি শক্তিশালী গবেষণা সংগঠন হিসেবে যে মাত্রায় বিকশিত হয়েছে তার মূলে রয়েছে পরিষদের সকল সদস্য ও গুণগ্রাহী, বিভাগীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচিত কর্ম-সংসদ (বর্তমানে ৩৩ জন সদস্য) ও এর কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টা।
বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ গবেষণার প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গিয়ে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে তা হলো ইতিহাস নামক গবেষণা পত্রিকার প্রকাশ। ১৯৬৭ সাল হতে এই পরিষদের মুখপত্র ইতিহাস পত্রিকা প্রকাশনার ঐতিহ্য সাত দশক অতিক্রম করেছে। দীর্ঘকাল এ পত্রিকাটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশনার কাজটি কোনভাবে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা চর্চার দিক থেকে সহজ সাধ্য নয়। পরিষদের সংরক্ষিত নথিপত্রের সূত্রে জানা যায় যে, ইতিমধ্যে গবেষণা পত্রিকা ইতিহাস অর্ধ-শতাধিক সংখ্যা প্রকাশ করার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বাংলায় রচিত ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এ যাবতকাল পর্যন্ত প্রকাশিত পত্রিকা ইতিহাসে বিশিষ্ট পন্ডিত, গবেষক, অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ ও ইতিহাস প্রেমিক ব্যক্তিবর্গ ও নানা পেশায় যুক্ত বুদ্ধিজীবীসহ বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রায় সাত শতাধিকেরও বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। যা বাংলা ভাষা গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নজির। বর্তমানে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গবেষণা পত্রিকা ইতিহাস- এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ দীর্ঘ ৫৯ বছর ধরে বাংলা ভাষা ইতিহাস চর্চা ও মৌলিক গবেষণামূলক কর্মকান্ডের গভীরভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং বাংলা ভাষায় জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্ব ইতিহাস চর্চা ও গবেষণার সর্ব প্রাচীন ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করেছে। বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে গবেষক, ইতিহাসবিদ, ইতিহাস অনুরাগী, শিক্ষিত ও সাধারণ মানুষের মাঝে ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ ও ইতিহাস সচেতনতা ও চেতনাবোধ সৃষ্টির মহান লক্ষ্যে কাজ করতে করতে ইতিহাস পরিষদ আজ নিজেই এক বিরাট মহীরুহে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘযাত্রা পথে বহুবিদ প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা অভীষ্ঠ লক্ষে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের এ সাফল্যের মূলে রয়েছে অনেক পেশাদার ইতিহাসবিদ, ইতিহাস অনুরাগী ব্যক্তিবর্গ ও পরিষদের সদস্যদের নিরলস প্রয়াস ও একনিষ্ঠ শ্রম এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা। বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের বাংলা ভাষায় ইতিহাস রচনার সাফল্য গাঁথায় অনেক বদান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা স্মরণে রেখে আগামীর পথ চলা অব্যাহত থাকবে-এটাই প্রত্যাশা।
দীর্ঘ ছয় দশকের পথচলায় বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর সামনে বাংলাভাষায় ইতিহাস চর্চা করে আজ এই পরিষদ একটি গণমুখী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে যেখানে সকল সদস্যের গবেষণা কার্যক্রমকে নিয়মিতভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করে চলেছে। সে সাথে এই পরিষদের একটি অনন্য দিক হচ্ছে এই যে, বার্ষিক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলনে একটি সুনিদৃষ্ট বিষয়কে মূল পরিষদ নির্ধারণ করে পন্ডিত, গবেষক অধ্যাপক, অধ্যাপক সুধীগন ও সম্মানিত সদস্যেরকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ ও অনুরোধ করে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করার আয়োজন করা হয়। অত:পর একাধিক অধিবেশনে উপস্থাপিত প্রবন্ধগুলো সমন্বয় ও সংকলনের মাধ্যমে বিষয়ভিত্তিক বিশেষ গ্রন্থ প্রকাশের রীতি রয়েছে। আগামীতেও মাতৃভাষা বাংলায় ইতিহাস চর্চা ও গবেষণার কর্ম-প্রয়াস নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অব্যহত থাকবে- এ লক্ষে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
 
 
অধ্যপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
Bangladesh Itihas Parishad